খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি

মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছু অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে তার ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বাদীপক্ষের দাবি, যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদনে বাস্তবতার সঙ্গে অসংগত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মির্জা আব্বাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীন মতপ্রকাশের নামে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর প্রতিকার চাওয়া হবে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দেশে আসার তারিখ জানালেন তারেক জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
দেশে আসার তারিখ জানালেন তারেক জিয়া

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন। লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি নিজেই এই তারিখ ঘোষণা করেন, যা পরে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন।

তারেক রহমান বলেন, ইনশাআল্লাহ তিনি নির্ধারিত তারিখেই বাংলাদেশে ফিরবেন এবং দেশের জনগণের সঙ্গে সরাসরি দেখা করবেন। তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, তার ফেরাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়। তার এই বক্তব্যের পর থেকেই দলীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা জানান, তারেক রহমানের আগমন দলের জন্য নতুন গতি ও প্রেরণা নিয়ে আসবে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাকে স্বাগত জানাতে দলীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৭–০৮ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমান চিকিৎসা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি লন্ডন থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে অনেকেই দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন।

সব মিলিয়ে, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন শুধু বিএনপির জন্য নয়, বরং সামগ্রিক রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়েই তাকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাদিক কায়েম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়েই তাকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাদিক কায়েম

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। সম্প্রতি হাদিকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। এক কর্মসূচিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই সাদিক কায়েম বলেন, একটি নৃশংস হামলার এতদিন পরও যদি খুনিরা ধরা না পড়ে, তাহলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ। তিনি দাবি করেন, এই ব্যর্থতার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। সাদিক কায়েম আরও বলেন, এটি কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় বিষয় নয়, বরং ন্যায়বিচার ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তার বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, এই আল্টিমেটামের পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়।

মস্তিষ্কে গুলি লাগলে কি আর কখনো বেঁচে ফেরা সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৩৫ অপরাহ্ণ
মস্তিষ্কে গুলি লাগলে কি আর কখনো বেঁচে ফেরা সম্ভব

মস্তিষ্কে গুলি লাগা মানবদেহের সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাতগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। এমন আঘাতের পর বেঁচে ফেরা আদৌ সম্ভব কি না—এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই আসে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে উত্তরটি একেবারে অসম্ভব নয়, তবে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং নির্ভর করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। গুলি মস্তিষ্কের কোন অংশে লেগেছে, সেটাই সবচেয়ে বড় নিয়ামক। মস্তিষ্কের যে অংশ শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন ও চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে আঘাত লাগলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আবার কিছু অংশে আঘাত তুলনামূলক কম প্রাণঘাতী হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি করতে পারে। গুলির গতি ও শক্তিও বড় ভূমিকা রাখে; উচ্চগতির গুলি মস্তিষ্কের টিস্যুতে ব্যাপক ক্ষতি করে, যেখানে কম গতির গুলিতে ক্ষতির মাত্রা তুলনামূলক কম হতে পারে। গুলি মাথার ভেতর দিয়ে বের হয়ে গেছে নাকি আটকে আছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই রক্তক্ষরণ ও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, কারণ এতে মস্তিষ্কে চাপ বেড়ে যায় এবং জীবননাশের আশঙ্কা তীব্র হয়। এসবের পাশাপাশি আহত ব্যক্তিকে কত দ্রুত উন্নত চিকিৎসা, আইসিইউ সাপোর্ট ও নিউরোসার্জারির আওতায় আনা হয়েছে, তার ওপরও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে যারা মস্তিষ্কে গুলি লাগার পর বেঁচে ফেরেন, তাদের দীর্ঘ সময় কোমায় থাকতে হয় এবং পরবর্তীতে স্মৃতিভ্রংশ, কথা বলতে সমস্যা, হাত-পা অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো জটিলতার মুখে পড়তে হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এসব প্রতিবন্ধকতা আজীবন রয়ে যায়। যদিও বিশ্বে এমন কিছু ব্যতিক্রমী উদাহরণ রয়েছে যেখানে মানুষ মস্তিষ্কে গুলি লাগার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, তবুও চিকিৎসকরা এটিকে নিয়ম নয়, বরং বিরল ঘটনা হিসেবেই দেখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন আঘাতের পর প্রথম ৭২ ঘণ্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়, এই সময় শরীর ও মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াই ভবিষ্যৎ অবস্থা অনেকটা নির্ধারণ করে। তাই মস্তিষ্কে গুলি লাগার পর বেঁচে ফেরা সম্ভব হলেও তা নির্ভর করে ভাগ্য, দ্রুত চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সমন্বয়ের ওপর।

ব্রেকিং নিউজ