সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। বিশেষ করে তার মায়ের অসুস্থতা ও দেশে ফেরার সম্ভাবনা সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগ পাচ্ছে। গত ২ ডিসেম্বর তারেক রহমান ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন মায়ের প্রতি তার আবেগ এবং দেশে ফিরতে না পারার কারণ, যা জনমনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে তারেক জিয়ার ফেসবুক পোস্টটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এক সন্তানের মতো আমি আমার মায়ের স্নেহ এবং উপস্থিতি চাই, কিন্তু দেশের পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় আমার একার নিয়ন্ত্রণে নেই।” এই বাক্য কেবল ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ করছে না, বরং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পারিবারিক দায়িত্বেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়া তিনি সবাইকে তার মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান দিয়েছেন এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার দেশে ফেরার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং জাতীয়তাবাদী দলের ভেতরের নীতিমালা এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত। আইনগতভাবে তার দেশে ফেরার পথে কোনো বাধা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত সমস্যা নেই এবং প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
📌 আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা কেমন
সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের পূর্বে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা বেশি। কারণ দলের নেতৃত্ব তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারেক নিজে ফেসবুকে লিখেছেন, সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি তার একার নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে এটি স্পষ্ট যে, দেশে ফেরা সম্ভব হলেও এটি শুধু ব্যক্তিগত ইচ্ছার বিষয় নয়। নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সমন্বয় এবং পারিবারিক দায়িত্ব—সব মিলিয়ে তার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হচ্ছে।
জনমতের দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একজন ছেলে যখন অসুস্থ মায়ের পাশে থাকতে চায়, তা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ করে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থক ও অনুরাগীরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারেকের প্রকাশিত আবেগ এবং মায়ের প্রতি তাড়া শুধু ব্যক্তি বিশেষের নয়, এটি দলের এবং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশেও প্রভাব ফেলছে।
বর্তমানে দেশ ও দলের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে, তারেকের দেশে ফেরা পরবর্তী কয়েক মাসে বাস্তবসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্বে অথবা নির্বাচনের সময় তার ফেরা দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং সমর্থকদের মনোবলও উজ্জীবিত করতে পারে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ এখনো খোলা আছে। তাঁর প্রকাশিত আবেগ ও মানবিক দিক, আইনগত স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক সমর্থন—সব মিলিয়ে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়; রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নিরাপত্তা বিষয়ক পরিকল্পনাও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে দোয়েল নিউজের পাঠকরা জানতে পারছেন — দেশে ফেরা সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সঠিক সময় এবং প্রক্রিয়া এখনও নির্ধারিত নয়।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ১২:১৬ অপরাহ্ণ