ফেব্রুয়ারিতেই হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন; কয় তারিখ অনুষ্ঠিত হবে জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ নির্বাচনী সূচক অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যেকোনো একদিন। ইসির একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জানানো হয়েছে—তফসিল ঘোষণা প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে, যা ১১ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত হলো সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধনী গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন ও সাংবিধানিক কাঠামো পরিবর্তনের কারণে এই গণভোটকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন। একই দিনে দুটি প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত বুথ স্থাপন, ভোটের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং গোপন কক্ষ বাড়ানোর মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইসির একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন—সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একদিনে করায় ভোটগ্রহণের চাপ বাড়বে, তাই নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই প্রশাসন, স্থানীয় নির্বাচন কার্যালয় এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করা হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, ব্যালট ব্যবস্থাপনা এবং নির্বাচন প্রশিক্ষণ—সব কিছু দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোও এই সম্ভাব্য সময়সূচির আলোকে তাদের প্রচার কৌশল, প্রার্থী বাছাই এবং মাঠ পরিচালনা জোরদার করছে।

৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কারণ হিসেবে ইসি জানিয়েছে—শীতকালীন আবহাওয়া, নিরাপত্তা বিবেচনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুযোগ এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতিকে সামনে রেখে এই সময়টিই সবচেয়ে উপযোগী। একই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনী গণভোটের কারণে ভোটারদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় আরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশব্যাপী ভোটারদের মধ্যে এখন তফসিল ঘোষণাকে ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে ভোটের সঠিক তারিখ, মনোনয়ন দাখিল, যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দসহ সব ধাপের আনুষ্ঠানিক সময়সূচি। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী—ডিসেম্বরে তফসিল এবং ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন এখন প্রায় নিশ্চিত।

এই নির্বাচন শুধু সরকার গঠন নয়—সংবিধান সংশোধন, ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপ বদলে দিতে পারে। তাই রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও সাধারণ ভোটারের দৃষ্টি এখন নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার দিকেই।

প্রিন্ট করুন