আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, হতে পারে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রঝড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

দেশজুড়ে তাপমাত্রা হঠাৎ কমতে শুরু করেছে, আর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে—শুক্র থেকে শুরু হয়ে কয়েক দফায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের অধিকাংশ জেলায়। উত্তরাঞ্চলসহ পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে দেশের কিছু অঞ্চলে বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও উল্লেখ করেছে বিভিন্ন আবহাওয়া–সংক্রান্ত প্ল্যাটফর্ম।

আবহাওয়াবিদদের মতে, হিমালয় অঞ্চল থেকে নেমে আসা শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ শক্তিশালী হচ্ছে। এর ফলে রাতের তাপমাত্রা দ্রুতই কমে যাবে এবং দিনের তাপমাত্রাতেও পার্থক্য স্পষ্ট দেখা দেবে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে তীব্র এবং ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। এ সময় সড়ক ও নদীপথে কুয়াশার কারণে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটার শঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকের হিমেল বাতাস বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ আর্দ্রতার সঙ্গে সংঘর্ষে লঘুচাপের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম, মধ্য এবং কিছু পূর্বাঞ্চলে বজ্রঝড়, এমনকি বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সূত্র। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই ধরনের বিরূপ আবহাওয়া সাধারণত মৌসুমের পরিবর্তনকালেই দেখা যায়, আর এবার সেই প্রভাব আরও তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সকালের কুয়াশায় রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, নৌযানগুলোকে প্রয়োজন না হলে চলাচল না করা এবং শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সুরক্ষায় রাখা জরুরি। একই সঙ্গে বজ্রঝড়ের সময় খোলা জায়গা এড়িয়ে চলা এবং বিদ্যুৎ লাইনের কাছাকাছি অবস্থান না করাই নিরাপদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই শৈত্যপ্রবাহ কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে এবং পর্যায়ক্রমে আরও বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও তাপমাত্রা কমে গিয়ে অস্বাভাবিক শীত অনুভূত হতে পারে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন প্রবল শীতের পূর্বাভাস এ বছর শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।

এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সর্বদা আপডেট আবহাওয়া বার্তা অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষি, যোগাযোগ ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় পূর্ব সতর্কতা নিলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।

প্রিন্ট করুন