দেশের বাজারে আজ থেকে ভোজ্যতেলের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে ভোক্তাদেরকে এখন বাড়তি খরচ করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য বৃদ্ধি, আমদানির ব্যয় বাড়া এবং ডলারের উচ্চ বিনিময় হার—সব মিলিয়ে রিফাইনারি কোম্পানিগুলো দাম সমন্বয় করেছে বলে জানিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে দাঁড়িয়েছে ১৯৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে হয়েছে ১৭৬ টাকা। পাশাপাশি ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫৫ টাকা, আর খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি উঠেছে ১৬৬ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি—আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বাড়ার ফলে দাম সমন্বয় করা ছাড়া উপায় ছিল না। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে ফেলায় বাজারে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর আগেও তেলের দাম বাড়ানোর পর ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল, যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে। তবে শেষ পর্যন্ত বাজারের বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে।
দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। তেল হলো প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত অন্যতম মৌলিক উপাদান; ফলে এর দাম সামান্য বাড়লেও পুরো পরিবারের মাসিক ব্যয় বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা খোলা তেলের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ আরও চেপে বসবে। এদিকে ভোক্তারা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমলে যেন দ্রুত সেই অনুযায়ী দেশে দাম সমন্বয় করা হয়।
দাম বৃদ্ধির পর বাজারে অস্থিরতা না তৈরির জন্য সরকার বাজার মনিটরিং জোরদার করার কথা জানিয়েছে। আমদানি ব্যয় স্থিতিশীল হওয়া, ডলার দর স্বাভাবিক পর্যায়ে আসা এবং বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম কমলে ভবিষ্যতে মূল্য আবারও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। আপাতত নতুন দাম কার্যকর হওয়ায় ভোক্তাদের বাজেটে বাড়তি চাপ যুক্ত হলো, এবং বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রভাব অব্যাহত থাকবে।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ