আজ সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারিনি, ফলে এ নিয়ে অনেক কুতর্ক আমাদের ছেয়ে গেছে। সেজন্য প্রকৃত উৎসর্গের ইতিহাস আমাদেরকে প্রভাবিত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ এর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার অঙ্গীকারের আমাদের শহিদরাও কেমন যেন হারিয়ে গেছে। কারণ গত দেড় যুগ ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম করেছে, তাতে মনে হয়েছে কেউ শহিদ হননি। এদেশটা মনে হতো শুধু তাদের, তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। সর্বোপরি আমাদের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এজন্য ওরাল হিস্ট্রি আর্কাইভট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ যুক্ত হয়েছিলো, কিন্তু সবাই তো অক্ষরজ্ঞাণ সম্পন্ন নয়। এজন্য ইতিহাসের পুস্তক রচনা সবসময় অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট মাধ্যম নয়। তথ্য প্রযুক্তির যুগে ওরাল হিস্ট্রি আর্কাইভের মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষরা ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত হতে পারবে বলে জানান উপাচার্য।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণার প্রকল্প পরিচালক কামরুন নেছা খন্দকার সভাপতিত্ত্ব অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবেদা সুলতানা, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, ডুয়েটে’র প্রভাষক মো. মামুনুর রশিদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইউএনডিপির ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মো: শাহাদাত হোসাইন, দ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাংবাদিক মো. বেলাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আলামিন খান (জাবি প্রতিনিধি)
প্রকাশের সময়: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৭:৩৫ অপরাহ্ণ