বিজয়ের মাসেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

রাজনীতি সচেতন মহলে আলোচনার অন্যতম বিষয় — তারেক রহমান–এর দেশে প্রত্যাবর্তন। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–র মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বলেন, “এই বিজয়ের মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন”।

মঙ্গলবার (ঘোষণার দিন) রুমন বলেন, তারেক রহমান “বিজয়ের বেশে” দেশে আসবেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে প্রত্যাবর্তন হবে প্রশ্নবিদ্ধভাবে নয় — “সাবলীলভাবে” আসবেন।

বাংলাদেশে “বিজয়” রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পর থেকেই “বিজয়” শব্দটি শুধু সামরিক বা ঐতিহাসিক বিজয় নয়, বরং জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই, রুমনের এই ঘোষণা বিএনপি ও তার সমর্থকদের জন্য এক ধরনের প্রতীকী আশা ও প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য কখন, কীভাবে এবং আউন করার নিরাপত্তা-ব্যবস্থা কেমন হবে — সেই বিষয়ে রুমন অথবা বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি বা বিবরণ দেওয়া হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং আইনগত বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে, এমন প্রত্যাবর্তন যদি ঘটে, তা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বিশেষ করে “বিজয়ের মাস”–কে প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া — এটি সূচিত করে যে, বিকল্প রাজনৈতিক পথে যেতে চায় বিএনপি; একই সঙ্গে, এটি একটি শক্তিশালী জনসংযোগ ও মনোবল বৃদ্ধির কৌশল।

যেমন–ই হোক, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্র — সর্বত্রই নজর থাকবে: দেখা যাবে, “বিজয়ের মাসেই” ফিরে আসা হবে কি না; এবং যদি আসে — কতটা সাবলীল ও কতটা রাজনৈতিক মাত্রায় তা কার্যকর হবে।

উল্লেখযোগ্য দৃষ্টিকোন

  • “বিজয়”কে সময় হিসেবে বেছে নেয়া — যা রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে শক্তিশালী।
  • তারেক রহমান-এর প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তির হিসেবেই নয়, তারেককে কেন্দ্র করে বিএনপি-র প্রতিশ্রুতি, আশা ও রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে দেখা।
  • সময়, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে — সবদিক বিবেচনায়, এটি একটি ঝুঁকি ও সম্ভাবনার মিশ্রণ।

প্রিন্ট করুন