বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও মেধাবী শ্রেণিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রে ভারতীয় সেনা ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক ও চিন্তাবিদদের হত্যা করে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ মহল ইতিহাসকে বিকৃত করে এই হত্যাকাণ্ডের দায় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ইতিহাস উদঘাটনে নিরপেক্ষ গবেষণা, নথিপত্র ও আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিক তথ্য জানতে পারে।
মিয়া গোলাম পরোয়ারের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই ধরনের বক্তব্য ইতিহাসচর্চা ও জাতীয় স্মৃতিচর্চার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৭:৫২ অপরাহ্ণ