খুঁজুন
শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

কবে দেশে আসছেন তারেক জিয়া; জানালেন নিজেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ণ
কবে দেশে আসছেন তারেক জিয়া; জানালেন নিজেই

সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। বিশেষ করে তার মায়ের অসুস্থতা ও দেশে ফেরার সম্ভাবনা সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগ পাচ্ছে। গত ২ ডিসেম্বর তারেক রহমান ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন মায়ের প্রতি তার আবেগ এবং দেশে ফিরতে না পারার কারণ, যা জনমনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে তারেক জিয়ার  ফেসবুক পোস্টটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এক সন্তানের মতো আমি আমার মায়ের স্নেহ এবং উপস্থিতি চাই, কিন্তু দেশের পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় আমার একার নিয়ন্ত্রণে নেই।” এই বাক্য কেবল ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ করছে না, বরং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পারিবারিক দায়িত্বেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়া তিনি সবাইকে তার মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান দিয়েছেন এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার দেশে ফেরার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং জাতীয়তাবাদী দলের ভেতরের নীতিমালা এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত। আইনগতভাবে তার দেশে ফেরার পথে কোনো বাধা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত সমস্যা নেই এবং প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

📌 আরও পড়ুন

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা কেমন

সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের পূর্বে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা বেশি। কারণ দলের নেতৃত্ব তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারেক নিজে ফেসবুকে লিখেছেন, সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি তার একার নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে এটি স্পষ্ট যে, দেশে ফেরা সম্ভব হলেও এটি শুধু ব্যক্তিগত ইচ্ছার বিষয় নয়। নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সমন্বয় এবং পারিবারিক দায়িত্ব—সব মিলিয়ে তার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হচ্ছে।

জনমতের দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একজন ছেলে যখন অসুস্থ মায়ের পাশে থাকতে চায়, তা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ করে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থক ও অনুরাগীরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারেকের প্রকাশিত আবেগ এবং মায়ের প্রতি তাড়া শুধু ব্যক্তি বিশেষের নয়, এটি দলের এবং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশেও প্রভাব ফেলছে।

বর্তমানে দেশ ও দলের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে, তারেকের দেশে ফেরা পরবর্তী কয়েক মাসে বাস্তবসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্বে অথবা নির্বাচনের সময় তার ফেরা দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং সমর্থকদের মনোবলও উজ্জীবিত করতে পারে।

সারসংক্ষেপে বলা যায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ এখনো খোলা আছে। তাঁর প্রকাশিত আবেগ ও মানবিক দিক, আইনগত স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক সমর্থন—সব মিলিয়ে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়; রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নিরাপত্তা বিষয়ক পরিকল্পনাও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে দোয়েল নিউজের পাঠকরা জানতে পারছেন — দেশে ফেরা সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সঠিক সময় এবং প্রক্রিয়া এখনও নির্ধারিত নয়।

 

জাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ-তানবীর

আলামিন খান (জাবি প্রতিনিধি)
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
জাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ-তানবীর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাজিম রিয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন একই ব্যাচের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাব চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান এ কমিটি ঘোষণা করেন। নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমিতির কার্যক্রম ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে নবনির্বাচিত সভাপতি শাহরিয়ার নাজিম রিয়াদ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এই সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো। আগামী দিনে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা, চট্টগ্রামের মেধাবী ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করা—এগুলোকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।

 

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তানভীর মাহতাব চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। আপনাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব।

তিনি আরও বলেন, ‘ঐক্য, দায়িত্ববোধ ও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি। ইনশাআল্লাহ, আপনাদের সহযোগিতায় আমরা সফল হবো।’

শুধুমাত্র আবেদন করলেই যেতে পারবেন ইউরোপের যে দেশে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
শুধুমাত্র আবেদন করলেই যেতে পারবেন ইউরোপের যে দেশে

শুধুমাত্র আবেদন করলেই ইউরোপের যেসব দেশে যাওয়া সম্ভব—এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি চাকরি–প্রত্যাশী ও দক্ষ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ শ্রমবাজার শূন্যতা পূরণে এশিয়ার দেশগুলো থেকে কর্মী নিচ্ছে, যার কারণে অভিবাসন প্রক্রিয়াও আগের তুলনায় সহজ হয়েছে। অনেক দেশে এখন আর জটিল ইন্টারভিউ বা দীর্ঘ যাচাই–বাছাই নেই; সাধারণ আবেদন করলেই সুযোগ মিলছে ভিসার, যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও যোগ্যতা ঠিক থাকে। এই প্রবন্ধে ইউরোপের সেই দেশগুলো, ভিসার ধরন, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়ার মূল দিকগুলো সহজভাবে তুলে ধরা হলো।

ইউরোপের যেসব দেশে শুধুমাত্র আবেদন করলেই যেতে পারেন, তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে ‘ডিক্রেটো ফ্লুসি’ কোটা অনুযায়ী প্রতিবছর কয়েক লাখ বিদেশি কর্মী নেওয়া হয়। কৃষি, নির্মাণ, হোটেল–রেস্টুরেন্ট, পরিচ্ছন্নতা, ড্রাইভিং, কেয়ারগিভারসহ বিভিন্ন সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মীর প্রয়োজন হয়। আবেদনকারীর শুধু নিয়োগদাতার কনট্রাক্ট লেটার, পাসপোর্ট এবং জমা দেওয়ার প্রয়োজনীয় নথি থাকলেই ভিসা পাওয়ার সুযোগ থাকে। ইতালির ভালো দিক হলো আবেদন করা সহজ, আর অনুমোদন পেলে সরাসরি ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগও অনেক বেশি।

অন্যদিকে পর্তুগাল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিসহ এশীয় কর্মীদের গ্রহণ করে আসছে। দেশটির “জব সার্চ ভিসা” বা শ্রমিক–সংগ্রহ ভিসা এখন তুলনামূলক সহজ প্রক্রিয়ায় পাওয়া যায়। আবেদনকারীরা আগে থেকেই চাকরি না পেলেও আবেদন করে ভিসা নিয়ে গিয়ে পর্তুগালে কাজ খুঁজে নিতে পারেন। কাগজপত্র সঠিক হলে এবং আর্থিক প্রমাণপত্র থাকলে পর্তুগালের ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ। এছাড়া দেশটিতে বসবাস করলে নির্দিষ্ট সময় পর পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।

রোমানিয়া বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত কর্মী নিচ্ছে এমন ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি। নির্মাণ, ফ্যাক্টরি, ওয়্যারহাউস, ওয়েল্ডিং, মেশিন অপারেটর, হোটেলসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রচুর শ্রমশক্তি প্রয়োজন। এদেশে আবেদন করার প্রক্রিয়াও খুব জটিল নয়—নিয়োগদাতার ওয়ার্ক পারমিট থাকলেই দূতাবাসে আবেদন করা যায় এবং অনুমোদন দ্রুত পাওয়া যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ ছাড়াই ভিসা অনুমোদন হয়ে থাকে। কর্মীদের জন্য রোমানিয়া এখন আকর্ষণীয় কারণ চাকরির সুযোগ বেশি, আর ইউরোপের অন্যান্য দেশে ভবিষ্যতে যাওয়ার পথও সহজ হয়।

পোল্যান্ড এশীয় শ্রমিকদের জন্য বহু বছর ধরেই জনপ্রিয় একটি দেশ। কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি, ড্রাইভিং ও লজিস্টিকস সেক্টরে হাজার হাজার কর্মী নেওয়া হয় বছরে। পোল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া তুলনামূলক সরল এবং একবার নিয়োগকর্তার কাগজ আসলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পোল্যান্ডে কাজ করলে পরবর্তীতে আরও ইউরোপীয় দেশে কাজের সুযোগ তৈরি হয়, বিশেষ করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাঙ্গেরি–ও বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দরজা খুলেছে। ফ্যাক্টরি কর্মী, ওয়্যারহাউস অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্যাকেজিং ও ইলেকট্রনিকস সেক্টরে প্রচুর নিয়োগ হচ্ছে। প্রয়োজন শুধু নিয়োগপত্র, পাসপোর্ট এবং ভেরিফাইড কাগজপত্র—ইন্টারভিউ বা বিশেষ টেস্টও অনেক ক্ষেত্রে লাগে না। হাঙ্গেরির ভিসা প্রসেস দ্রুত হওয়ায় এটি চাকরি–প্রত্যাশীদের কাছে নতুন গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এছাড়া ক্রোয়েশিয়া, স্লোভাকিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা—এই দেশগুলোতেও প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ক্রোয়েশিয়ার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সি–ফুড প্রসেসিং ও পরিবহন খাতে ব্যাপক জনবলের প্রয়োজন হয়। মাল্টা আইটি, হসপিটালিটি ও নির্মাণ খাতে সহজ আবেদন প্রক্রিয়ায় কর্মীর ভিসা দেয়। লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ায় কারখানা কর্মী ও ট্রাক–ড্রাইভারদের জন্য দ্রুত ভিসা অনুমোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।

যে দেশে যেতেই চান, কিছু সাধারণ বিষয় মনে রাখা জরুরি। প্রথমত—সবসময় বৈধ উপায়ে আবেদন করতে হবে, কারণ ইউরোপের দেশগুলো এখন ভিসা যাচাইয়ে অনেক কঠোর। দ্বিতীয়ত—নিয়োগদাতার কাগজপত্র অবশ্যই সত্য ও যাচাই–যোগ্য হতে হবে। ভুয়া চুক্তিপত্রে ভিসা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তৃতীয়ত—পাসপোর্ট, পেশাগত দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ সব নথি সঠিক হলে আবেদন দ্রুত গ্রহণ করা হয়। সবচেয়ে ভালো হয় এজেন্সি বা দালালের ওপর না ভরসা করে নিজে যাচাই করে আবেদন করার মাধ্যমে।

ইউরোপে কাজের সুযোগ বাড়ছে, সেটা সত্যি; তবে একই সঙ্গে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। তাই যারা ইউরোপের যেকোনো দেশে শুধু আবেদন করেই যেতে চান, তাদের উচিত সঠিক তথ্য জেনে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে এগোনো। ইতালি, পর্তুগাল, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশিদের জন্য সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে—এখন শুধু যোগ্যতা, প্রস্তুতি এবং সঠিক আবেদনই আপনাকে সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এভাবে প্রস্তুত থাকলে ইউরোপে কাজের স্বপ্ন আর দূরে থাকবে না, বরং একটি বৈধ আবেদনই হয়ে উঠবে নতুন জীবনের শুরু।

কাতার নয়, খালেদা জিয়ার জন্য বিমান আসছে যে দেশ থেকে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
কাতার নয়, খালেদা জিয়ার জন্য বিমান আসছে যে দেশ থেকে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। প্রথমে জানানো হয়েছিল, তাঁর লন্ডন যাত্রার উদ্দেশ্যে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় আসবে, সেটি কাতার থেকে পাঠানো হবে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। তবে শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কাতার থেকে পাঠানোর কথা থাকা বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটটি যান্ত্রিক সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। ফলে খালেদা জিয়ার দেশত্যাগের পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায় এবং নতুন ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু হয়।

সর্বশেষ নিশ্চিত তথ্যে জানা গেছে, কাতার নয়—খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে জার্মানি থেকে। ইউরোপভিত্তিক একটি বিশেষায়িত প্রাইভেট কোম্পানি এই চিকিৎসাবাহী অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা করবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফ্লাইং পারমিট এবং মেডিকেল টিম নিশ্চিত করার পর নতুন ফ্লাইটটির ঢাকায় অবতরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছালে প্রয়োজনীয় মেডিকেল মূল্যায়ন সম্পন্ন করে খালেদা জিয়াকে সরাসরি লন্ডনে নেওয়া হবে, যেখানে তাঁর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার আরও ব্যবস্থা প্রস্তুত।

এর আগে শুক্রবার রাতে তাঁর লন্ডন যাওয়ার কথা থাকলেও কাতারি অ্যাম্বুলেন্স বিলম্ব হওয়ায় যাত্রা পেছাতে হয়। পরিবারের সদস্য ও বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি চিকিৎসা টিমও নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুত রয়েছে। আপাতত লক্ষ্য—যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদভাবে তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার আওতায় নেওয়া।

এখন নজর রয়েছে জার্মানি থেকে আসা নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে, যা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকর হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে যাত্রা বিলম্বের আর কোনো কারণ থাকবে না।

ব্রেকিং নিউজ