খুঁজুন
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আজ থেকে আবারও দাম বাড়ছে ভোজ্য তেলের; ১ লিটার কত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ
আজ থেকে আবারও দাম বাড়ছে ভোজ্য তেলের; ১ লিটার কত

দেশের বাজারে আজ থেকে ভোজ্যতেলের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে ভোক্তাদেরকে এখন বাড়তি খরচ করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য বৃদ্ধি, আমদানির ব্যয় বাড়া এবং ডলারের উচ্চ বিনিময় হার—সব মিলিয়ে রিফাইনারি কোম্পানিগুলো দাম সমন্বয় করেছে বলে জানিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে দাঁড়িয়েছে ১৯৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে হয়েছে ১৭৬ টাকা। পাশাপাশি ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫৫ টাকা, আর খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি উঠেছে ১৬৬ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের দাবি—আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং পরিবহন ও উৎপাদন খরচ বাড়ার ফলে দাম সমন্বয় করা ছাড়া উপায় ছিল না। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে ফেলায় বাজারে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর আগেও তেলের দাম বাড়ানোর পর ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল, যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে। তবে শেষ পর্যন্ত বাজারের বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে।

দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। তেল হলো প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত অন্যতম মৌলিক উপাদান; ফলে এর দাম সামান্য বাড়লেও পুরো পরিবারের মাসিক ব্যয় বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা খোলা তেলের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ আরও চেপে বসবে। এদিকে ভোক্তারা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমলে যেন দ্রুত সেই অনুযায়ী দেশে দাম সমন্বয় করা হয়।

দাম বৃদ্ধির পর বাজারে অস্থিরতা না তৈরির জন্য সরকার বাজার মনিটরিং জোরদার করার কথা জানিয়েছে। আমদানি ব্যয় স্থিতিশীল হওয়া, ডলার দর স্বাভাবিক পর্যায়ে আসা এবং বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম কমলে ভবিষ্যতে মূল্য আবারও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। আপাতত নতুন দাম কার্যকর হওয়ায় ভোক্তাদের বাজেটে বাড়তি চাপ যুক্ত হলো, এবং বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রভাব অব্যাহত থাকবে।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ: জামায়াতে ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:৫২ অপরাহ্ণ
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ: জামায়াতে ইসলাম

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও মেধাবী শ্রেণিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রে ভারতীয় সেনা ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক ও চিন্তাবিদদের হত্যা করে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ মহল ইতিহাসকে বিকৃত করে এই হত্যাকাণ্ডের দায় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ইতিহাস উদঘাটনে নিরপেক্ষ গবেষণা, নথিপত্র ও আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিক তথ্য জানতে পারে।

মিয়া গোলাম পরোয়ারের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই ধরনের বক্তব্য ইতিহাসচর্চা ও জাতীয় স্মৃতিচর্চার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি

মির্জা আব্বাসকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছু অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে তার ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বাদীপক্ষের দাবি, যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদনে বাস্তবতার সঙ্গে অসংগত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মির্জা আব্বাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীন মতপ্রকাশের নামে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর প্রতিকার চাওয়া হবে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হাদিকে গুলি করা ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ণ
হাদিকে গুলি করা ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি-এর ওপর গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তদন্ত আরও তীব্র হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্টদের সম্পদ ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে কার্যকর অনুসন্ধান শুরু করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) রবিবার নিশ্চিত করেছে যে এই হামলার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার মালিকানাধীন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এপল সফট আইটি লিমিটেড’-এর সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করেন সংশ্লিষ্ট আসামির আর্থিক তথ্য ও লেনদেন খতিয়ে দেখলে হামলা ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তার আইটি প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছে, যাতে তাদের আর্থিক গতিবিধি অন্তত ওই লেনদেনগুলো তদন্তে কাজে লাগানো যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে হামলার পেছনের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক চেইন এবং সহযোগী বা ফান্ডিং নেটওয়ার্ক উন্মোচিত করার চেষ্টা চলছে।

এই ঘটনার পর থেকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশে উত্তেজনা বিরল নয়। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) গুলিবিদ্ধ হয় হাদি, এবং পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা দ্রুত সিসিটিভি ফুটেজ, সন্দেহভাজনদের ছবি ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ করছে, এবং এরই অংশ হিসাবে ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার ও পুলিশ ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তি সম্পর্কে ছবি প্রকাশ করে তাকে শনাক্তে জনগণের সহায়তাও চাইছে এবং উক্ত সন্দেহভাজনের তথ্য দিয়ে যারা সহায়তা করবে তাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে

মামলার তদন্ত চলছে এবং ব্যাংক হিসাব জব্দসহ অন্যান্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে হামলার পেছনের প্ররোচনা ও সম্ভাব্য সমন্বয়ের তথ্য খুঁজে বের করা হচ্ছে, যাতে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা যায় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।

ব্রেকিং নিউজ