খুঁজুন
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বিজয়ের মাসেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:২২ পূর্বাহ্ণ
বিজয়ের মাসেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

রাজনীতি সচেতন মহলে আলোচনার অন্যতম বিষয় — তারেক রহমান–এর দেশে প্রত্যাবর্তন। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–র মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বলেন, “এই বিজয়ের মাসেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন”।

মঙ্গলবার (ঘোষণার দিন) রুমন বলেন, তারেক রহমান “বিজয়ের বেশে” দেশে আসবেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে প্রত্যাবর্তন হবে প্রশ্নবিদ্ধভাবে নয় — “সাবলীলভাবে” আসবেন।

বাংলাদেশে “বিজয়” রাজনৈতিক ও প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পর থেকেই “বিজয়” শব্দটি শুধু সামরিক বা ঐতিহাসিক বিজয় নয়, বরং জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই, রুমনের এই ঘোষণা বিএনপি ও তার সমর্থকদের জন্য এক ধরনের প্রতীকী আশা ও প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য কখন, কীভাবে এবং আউন করার নিরাপত্তা-ব্যবস্থা কেমন হবে — সেই বিষয়ে রুমন অথবা বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি বা বিবরণ দেওয়া হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং আইনগত বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে, এমন প্রত্যাবর্তন যদি ঘটে, তা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বিশেষ করে “বিজয়ের মাস”–কে প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া — এটি সূচিত করে যে, বিকল্প রাজনৈতিক পথে যেতে চায় বিএনপি; একই সঙ্গে, এটি একটি শক্তিশালী জনসংযোগ ও মনোবল বৃদ্ধির কৌশল।

যেমন–ই হোক, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্র — সর্বত্রই নজর থাকবে: দেখা যাবে, “বিজয়ের মাসেই” ফিরে আসা হবে কি না; এবং যদি আসে — কতটা সাবলীল ও কতটা রাজনৈতিক মাত্রায় তা কার্যকর হবে।

উল্লেখযোগ্য দৃষ্টিকোন

  • “বিজয়”কে সময় হিসেবে বেছে নেয়া — যা রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে শক্তিশালী।
  • তারেক রহমান-এর প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তির হিসেবেই নয়, তারেককে কেন্দ্র করে বিএনপি-র প্রতিশ্রুতি, আশা ও রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে দেখা।
  • সময়, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে — সবদিক বিবেচনায়, এটি একটি ঝুঁকি ও সম্ভাবনার মিশ্রণ।

হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি-র ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় ঘটনাটি অনুসন্ধান করে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে এবং এর মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমন খবর আজ প্রকাশিত হয়েছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সেই মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে এবং পরে তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে। মোটরসাইকেলের নম্বর ৫৪-৬৩৭৫ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হান্নানের বাবা মো. আবুল কাশেম, এবং তার বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাগঞ্জ এলাকায় বলে জানা গেছে। বর্তমানে তদন্তে দেখা হচ্ছে যে, হান্নান হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কি না।

এই ঘটনার পূর্বের খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুরে হাদি ঢাকার পল্টন এলাকার বক্স কালভার্ট রোডে একটি রিকশায় যাত্রাকালে মোটরসাইকেল আরোহীরা গুলি চালায়, যার ফলে তিনি মাথায় স্থায়ী ক্ষতিসহ গুরুতর আহত হন এবং তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়; পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হামলাকারীদের শনাক্তের ব্যাপারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলো এবং শুরু থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ বলেছে, তারা হামলাকারীদের “অতি শিগগিরই” গ্রেপ্তার করতে পারে এবং সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় সাধারণ নাগরিকদের সহায়তায় জড়িতদের শনাক্তে সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

এমনকি সরকারি পর্যায়ের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে যারা হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিতে সহায়তা করবে তাদের জন্য। কিছু প্রতিবেদন বলছে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নামে পুরস্কার রাখা হয়েছে যাতে তাঁর অবস্থান জানানো যায়।

হামলার বিষয়টি ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ একসাথে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

ওসমান হাদীর সুস্থতা কামনায় জাবিতে জাতীয় ছাত্র শক্তির দোয়া মাহফিল আয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ অপরাহ্ণ
ওসমান হাদীর সুস্থতা কামনায় জাবিতে জাতীয় ছাত্র শক্তির দোয়া মাহফিল আয়োজন

জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি-র দ্রুত সুস্থতা কামনায় জাতীয় ছাত্রশক্তি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ছাত্রশক্তি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন আয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জাবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসান লাবিব, সহ- সভাপতি নাসিম আল তারিকসহ ছাত্রশক্তি জাবি শাখার অন্যান্য সংগঠকবৃন্দ ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিল শেষে জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক শরীফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। তাঁর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এমন হামলা প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সারাদেশে নিরাপত্তা ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।”

উক্ত দোয়া মাহফিলে জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতৃবৃন্দ শরীফ ওসমান হাদির আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি দেশ, জাতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের সফলতা কামনা করা হয়।

হাদির হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:১৯ অপরাহ্ণ
হাদির হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার

শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় জড়িত হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হাদির ওপর হামলাটি একটি নৃশংস ও পরিকল্পিত ঘটনা, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং চলমান রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা।

এ ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, হামলাকারীর অবস্থান, পরিচয় বা গ্রেপ্তারে সহায়ক নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করলে তথ্যদাতাকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।

ইতোমধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজনদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করছে এবং বিশেষ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি শুধু একজন ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, বরং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনের শাসনের ওপর আঘাত, তাই সাধারণ মানুষকে ভয় না পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।

ব্রেকিং নিউজ