খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১ পৌষ, ১৪৩২

মস্তিষ্কে গুলি লাগলে কি আর কখনো বেঁচে ফেরা সম্ভব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৩৫ অপরাহ্ণ
মস্তিষ্কে গুলি লাগলে কি আর কখনো বেঁচে ফেরা সম্ভব

মস্তিষ্কে গুলি লাগা মানবদেহের সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাতগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। এমন আঘাতের পর বেঁচে ফেরা আদৌ সম্ভব কি না—এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই আসে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে উত্তরটি একেবারে অসম্ভব নয়, তবে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং নির্ভর করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। গুলি মস্তিষ্কের কোন অংশে লেগেছে, সেটাই সবচেয়ে বড় নিয়ামক। মস্তিষ্কের যে অংশ শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন ও চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে আঘাত লাগলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আবার কিছু অংশে আঘাত তুলনামূলক কম প্রাণঘাতী হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা তৈরি করতে পারে। গুলির গতি ও শক্তিও বড় ভূমিকা রাখে; উচ্চগতির গুলি মস্তিষ্কের টিস্যুতে ব্যাপক ক্ষতি করে, যেখানে কম গতির গুলিতে ক্ষতির মাত্রা তুলনামূলক কম হতে পারে। গুলি মাথার ভেতর দিয়ে বের হয়ে গেছে নাকি আটকে আছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই রক্তক্ষরণ ও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, কারণ এতে মস্তিষ্কে চাপ বেড়ে যায় এবং জীবননাশের আশঙ্কা তীব্র হয়। এসবের পাশাপাশি আহত ব্যক্তিকে কত দ্রুত উন্নত চিকিৎসা, আইসিইউ সাপোর্ট ও নিউরোসার্জারির আওতায় আনা হয়েছে, তার ওপরও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে যারা মস্তিষ্কে গুলি লাগার পর বেঁচে ফেরেন, তাদের দীর্ঘ সময় কোমায় থাকতে হয় এবং পরবর্তীতে স্মৃতিভ্রংশ, কথা বলতে সমস্যা, হাত-পা অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো জটিলতার মুখে পড়তে হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এসব প্রতিবন্ধকতা আজীবন রয়ে যায়। যদিও বিশ্বে এমন কিছু ব্যতিক্রমী উদাহরণ রয়েছে যেখানে মানুষ মস্তিষ্কে গুলি লাগার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, তবুও চিকিৎসকরা এটিকে নিয়ম নয়, বরং বিরল ঘটনা হিসেবেই দেখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন আঘাতের পর প্রথম ৭২ ঘণ্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়, এই সময় শরীর ও মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াই ভবিষ্যৎ অবস্থা অনেকটা নির্ধারণ করে। তাই মস্তিষ্কে গুলি লাগার পর বেঁচে ফেরা সম্ভব হলেও তা নির্ভর করে ভাগ্য, দ্রুত চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সমন্বয়ের ওপর।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়েই তাকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাদিক কায়েম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়েই তাকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাদিক কায়েম

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। সম্প্রতি হাদিকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। এক কর্মসূচিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই সাদিক কায়েম বলেন, একটি নৃশংস হামলার এতদিন পরও যদি খুনিরা ধরা না পড়ে, তাহলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ। তিনি দাবি করেন, এই ব্যর্থতার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। সাদিক কায়েম আরও বলেন, এটি কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় বিষয় নয়, বরং ন্যায়বিচার ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তার বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, এই আল্টিমেটামের পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়।

আজ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হবে সিঙ্গাপুরে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ
আজ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হবে সিঙ্গাপুরে

আজ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। চিকিৎসক ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিদেশে বিশেষায়িত চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা মনে করছেন, সিঙ্গাপুরের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিউরো ও ট্রমা কেয়ারের মাধ্যমে তার চিকিৎসা আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার আগে প্রয়োজনীয় মেডিকেল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পুরো যাত্রাপথে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাকে লক্ষ্য করে চালানো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিভিন্ন মহল থেকে দোয়া ও সমর্থন জানানো হচ্ছে।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ: জামায়াতে ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:৫২ অপরাহ্ণ
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ: জামায়াতে ইসলাম

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও মেধাবী শ্রেণিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রে ভারতীয় সেনা ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক ও চিন্তাবিদদের হত্যা করে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ মহল ইতিহাসকে বিকৃত করে এই হত্যাকাণ্ডের দায় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ইতিহাস উদঘাটনে নিরপেক্ষ গবেষণা, নথিপত্র ও আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিক তথ্য জানতে পারে।

মিয়া গোলাম পরোয়ারের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই ধরনের বক্তব্য ইতিহাসচর্চা ও জাতীয় স্মৃতিচর্চার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

ব্রেকিং নিউজ